অত:পর তুমি হারিয়ে গেলে শূণ্যতার ঘনত্ব বাড়িয়ে,
বুকের পাড় ভাঙ্গার সূত্রপাত করে,
এই যে তুমিহীন এক শূণ্যতা,
এ শূন্যতারও কিছু না বলা নীরব কথা থাকে, কিছু না পাওয়া আবদার থাকে, যেনো শূণ্যতাগুলোর মাঝে জমা হতে থাকে সুপ্ত অভিমান,
একাকিত্ব আর শূণ্যতার সঙ্গমে নিরবতারা কেমন কাঁদে, কেমন যেন ধুমরে মুছরে যায় চারিপাশ,
তবুও আমি বাঁচি,
আমি বেচে থাকি, তোমার শূণ্যতা নিয়ে, তোমায় নিয়ে স্নানে ভেজা স্বৃতি নিয়ে।
তোমাকে খুজতে গেলেই এক অচেনা অন্ধকার আসে, আমি অপেক্ষার মোমবাতিতে অগ্নি জালিয়ে তোমার অস্তিত্ব খুজি, তোমার ঠোটের পাশের কালো তিল খুজি, আর অন্ধকার কে অভিশাপ দেই।
কেন জগতে অন্ধকার আসে? দিনের শেষে মানুষগুলো কেন বিশ্বাস নিয়ে অন্ধকারের অপেক্ষাই থাকে? অথচ অন্ধকার যেনো আমার আজন্ম শত্রু।
তোমাকে ভুলতে গেলে আমার কাপুনি লাগে, শরির জুড়ে নেমে আসে শিতল ঝড়,
গুড়ুগুড়ু ডাক, বজ্রপাত যেনো আমার ক্ষয়ে হাত বাড়াতে চায়,
আমি তবুও তন্দ্রাঘোরে তোমার মুখপানেই আমার আশ্রয় খুজি।
তবুও কি জানো, ঘুমের ঘোরে আমি
আমি নির্লজ্জ্ব হয়ে তোমায় ডাকি।
তোমার বিচ্ছেদে আমি দেখেছি একাকিত্বের ভিড়েও একাকিত্ব থাকে,
মৃত্যুর পরেও লুকানো নিঃশ্বাস হামাগুড়ি দিয়ে বেচে থাকে।
অথচ তোমার চলে যাওয়ায় ফিরে আসার বেচে থাকাই হলোনা।
এই যান্ত্রিকতার মাঝে ভালোবাসার খুব অভাব,
সময়ের টানাপোড়ায় ব্যস্ততার চাকা ঘুড়ে অবিরাম,
ভালোবাসা হারায় বহু দূর।
শত কোলাহলের মাঝে প্রিয় সুর শুনা হয় না বহুকাল-
ভুলে যাই কিছু অস্তিত্ব।
তুমি ভুলে যাও আমায়, আমি ভুলে যাই তোমায়,
ভালোবাসা ভুলে যায় দু জনার পরিচয়।
দু সীমান্তে তুমি আমি দু পথিকের মতো
শত পরিচয় শর্তেও বেলা শেষে অপরিচিত।